এক পলক চোখের ঠারে আমার ধ্যানকল্পের বেসাতী সব ভেঙ্গে ছারখার হয়ে গেল। কিছুইতো সে বলে নি মুখে। একটিবার মুগ্ধ চোখে আমার পানে দৃষ্টি ছুড়ে দিয়ে মুচকি হেসে ওড়নার আড়ালে মুখটা ঢেকে সে চলে গেল। চলার পথে রেখে গেল উত্তপ্ত বয়সের টাটকা চাহনির মিষ্টি সুঘ্রাণ। আমি তারই তীব্র তাপে পুড়তে শুরু করলাম। এত তাপ, এত উত্তাপ, এত জ্বালা আর কোন আগুনের গুণে থাকতে পারে না। আমি পুড়ে পুড়ে দগ্ধীভূত হতে লাগলাম। মনকে কতবার বললাম, সে তো এখনো রাঙা ঠোঁটের ভাঁজে তোমার জন্য শব্দ সৃষ্টি করে কিছু বলেনি। তবে কেন তুমি তার এক পলক চাহনির উপর ভর করে এমনভাবে আকাঙ্ক্ষার আগুনে দগ্ধীভূত হচ্ছ। মন তার প্রত্যুত্তরে কিছুই না বলে শুধু চলে যাওয়ার পথ পানে তাকিয়ে রইল নিষ্পলক।
কতদিন তার আসা-যাওয়ার পথের ধারে বসে বসে প্রতীক্ষায় কাটিয়েছি তাও ঠিক বলতে পারব না। প্রথম যেদিন তাকে দেখি সেদিন থেকেই তার জন্য মনের অস্থিরতা বাড়তে থাকে। অনেক রাত জেগে কাটিয়ে কতশত কল্পনার বর্ণমালায় শব্দের মালা গেঁথে তাকে পরাব বলে স্থির করেছি তার কোন হিসেব নেই। সে সব মালা পরের দিনই শিশির বিন্দুর মত মিলিয়ে গেছে হাওয়ায়। কত কবিতা রচেছি তারওতো সঠিক হিসেব নেই কোথাও। একদিন সাহসের ডানায় ভর করে একটা খুদে বার্তায় তাকে আমি আমার কথা জানিয়েছি, “প্রেয়সী, আমি তোমাকে…”। কিন্তু সে তার প্রত্যুত্তরে কোন বার্তাই আর আমার জন্য এ পর্যন্ত পাঠায় নি। আমি দিনের পর দিন শুধু তার বার্তার অপেক্ষায় কাটিয়েছি। আর কাটিয়েছি সেই চরম মুহূর্তের জন্য, যেদিন তার চোখে ফুটবে আমার জন্য ভালোবাসার আকুতি আর ঠোঁটের ভাঁজে পরম লাজে বিনম্র আধফোটা ভালোবাসার বর্ণমালা। হায়, এই বুঝি সে লিখে পাঠাবে,“ প্রিয়, আমিও…..।”
এরপর অনেক দিন গত হয়ে গেছে, সে একটিবারও আমার দিকে ফিরে চায় নি। গত মঙ্গলবারেই প্রথম সে আমার দিকে এ ভাবে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে একপলক চাহনিতে কি যেন বলে গেল। মুখের লজ্জারাঙা মুচকি হাসিটাও যেন তার সাথে সাথে সকল প্রতীক্ষিত প্রত্যাশার সব বার্তা জানিয়ে গেল। তাতে যে আমার অস্থিরতা আরো বেড়ে গেছে। আমার বুকে এখন সাগরের ঢেউ। বেগে বইছে কালবৈশাখীর উন্মত্ত হাওয়া। আর আষাঢ়ের গুরুগম্ভীর গর্জনে বিরহের আঙ্গিনায় প্রমত্ত বর্ষণ । হয়তো তার বুকেও আমারই মত অস্থিরতা। আমার মতই ঢেউ। আমার মতই কম্পন। আমার মতই অনুভূতি।
আবারো মনকে বার বার প্রশ্ন করলাম, তুমি কেন এত অস্থির হচ্ছ ? তুমি কোন সে আশায় এতটা উদ্বেলিত হচ্ছ ? কি এমন কথা আজ সে তোমাকে বলেছে? যার তাড়নায় তুমি আবেগ তাড়িত হয়ে এতটা অস্থিরতা প্রকাশ করছ ? মন বলল, কই না তো। তেমন কিছুই তো বলে নি।
তবে তোমার ভিতর এত অস্থিরতা কেন?
মন আবার বললো, আরে পাগল, নারীরা মুখ ফুটে যা বলে তা তাদের আবেগ। আর চোখে যা বলে, তাই সত্য, তাই বাস্তব। তুমি যদি তার চোখের ভাষা পড়তে পার তবে তো জেনেই গেছ সে তোমাকে কি বলে গেছে। আর যদি না পার তবে অনুবাদের জন্য চেষ্টা করে যাও।
তবে তা বুঝে উঠার আগেই কেন আমার বুকটা এত দুরু দুরু করছে ?
এটা তোমার আশঙ্কা, তোমার ভয়, তোমার অজ্ঞতা । তুমি আবারও তার চোখের চাহনিটাকে পড়তে চেষ্টা কর। আবার পড়। বারবার পড়। দেখ সে ঠিকই তোমাকে তার হৃদয়ের সব কথা বলে গেছে। ঐটুকু চাহনির ভেতর রয়েছে এই পৃথিবীর সমস্ত প্রেমের অস্ফুট বার্তা। তুমি গভীর চেতনায় পাঠ উদ্ধার কর।তুমি তার মধ্যেই পেয়ে যাবে সারা জনমের কাঙ্ক্ষিত পথের ঠিকানা।
তুমি কেন অপেক্ষা করছ। তুমি যদি আরো অপেক্ষা কর কোন কিছু শোনার জন্য তবে তুমি সেই অবধি পুড়ে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে। কারণ, প্রেমের নিয়োগপত্র বার বার ইস্যু করা হয় না। একবারই হয়। তুমি যথাসময়ে যোগদানে ব্যর্থ হলে বিরহের আগুনে সারা জীবন পুড়তে হবে। যে দৃষ্টির জন্য, যে চপল চাহনির জন্য, যে মায়ার আগুনের জন্য তোমার প্রভাতকালের অপেক্ষা, তাতো উদিত হয়েছেই। তোমার উপরে তার দৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। তুমি নাচ, তুমি গাও, তুমি আনন্দের আতিসহ্যে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের বুকে মেলে দাও দুরন্ত চেতনার থাবা। তুমি জেগে ওঠ। এই চাহনির জন্যই, এই ভালোবাসার জন্যই, এই মায়াবী হাসির জন্যই তোমার এতকালের প্রতীক্ষা পূর্ণতা পেয়েছে। তুমি ওঠে দাঁড়াও। একবার সামনাসামনি হও তার। আর বল প্রিয়সি, তুমি কেবলই আমার।
হ্যাঁ মন, আমাকে তাই করতে হবে। তুমি যথার্থ বলেছ। আমাকে তাই বলতে হবে। আমাকে তার মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে। আমি আগামী কালই তাদের বাড়িতে যাব। আর তার সামনাসামিন হবো। দুচোখ ভরে দেখব, যে চোখের বিকশিত মায়াবী চাহনিতে আমার হৃদয়ের সবটুকু চাওয়া পাওয়া ডানা মেলে দিয়েছে ভালোবাসার উন্মুক্ত আকাশে। হায় ভালোবাসা, তোমার মুগ্ধ চেতনার খোশবু ছড়িয়ে পড়ুক বুকের বিদগ্ধ বাতাসে। ছড়িয়ে পড়ুক চেতনার নবীন রং রঙধনু সাজে তোমার রাঙা ঠোঁটর ভাঁজে।
আমার প্রেয়সী, ও পাড়ার মীরা, এবার একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছে। অত্যন্ত লাজুক আর মিষ্টি মেয়ে সে। গায়ের রং বেশ ফর্সা। তার চোখ দুটো ভাসাভাসা। কোথাও কোন রাগ বা বিরক্তির ছাপ নেই চেহারায়। চলাফেরার মধ্যে শালিনতাবোধ যে কারো দৃষ্টি কাড়বে সহজেই। বাবা-মার একমাত্র মেয়ে। বাবা সহজ-সরল একজন কৃষক। মেয়েকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন। মেয়েকে তারা লেখাপড়া শিখিয়ে অনেক অনেক বড় করবে। কিন্তু এ জন্য বার বার হুঁচট খেতে হচ্ছে। শুনেছি, তাদের পাড়ার বকাটে ছেলেরা তাকে প্রায়ই বিরক্ত করে। এ নিয়ে দুএকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে এবং দুটো ছেলেকে সাবধান করা হয়েছে।কিন্তু তাতে তেমন কোন ফল হয়নি। মীরার বাবা একবার একটা ভাল সম্বন্ধ দেখে মীরার বিয়ে দেয়ার আয়োজন করেছিল। ছেলেরা মীরার বয়স আঠান হয়নি মর্মে উপজেলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ করে আসে। ফলে বিয়ে দেয়াটাও সম্ভব হয় না। তারা প্রায়ই কলেজে আসা-যাওয়ার পথে মীরাকে খুব উত্ত্যক্ত করে। তবু সে মাথা নিচু করে কলেজে যায় আসে। কোন উত্তর করে না। তবে মাঝেমধ্যে চোখের পানি মুছে আবার ঝাপসা দৃষ্টি দেয় সাদা পাতায় কালো অক্ষরের বুকে। এবার চূড়ান্ত পরীক্ষা দেয়া হলেই সে শহরে চলে যাবে। এলাকায় আর থাকবে না বলে জেনেছি।
মীরার বান্ধবী আমাদের পাশের বাড়ির রীতা সে আমাকে সব বলেছে।মীরা তার বিয়েতে এসেছিল। মীরার সাথে আমার সেখানেই দেখা। আমি প্রথম দৃষ্টিতেই মুগ্ধ। মনে হল ঠিক এমন একটি মেয়ের ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই বুঝি আমার এতকালের প্রতীক্ষা।মীরা ঠিক আমার জন্যেই জন্মেছে। মীরা কেবল আমারই। গত কয়েকদিন আগে রীতাকে জানিয়েছি যে, আমি মীরাকে ভালোবাসি।আর মীরার কাছে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তাও পাঠিয়েছি তাও বলেছি। রীতা বলেছিল, মীরার সাথে দেখা হলে তার মতামতটা সে জেনে আমাকে পরে জানাবে। জানি না, রীতা মীরাকে আমার কথাগুলো বলেছিল কিনা। আর বললে মীরা তার উত্তরে কি বলেছে তাও জানা হয় নি। আমার বিশ্বাস, মীরা আমার প্রস্তাব ফেলবে না। আমার পড়াশোনা শেষ হয়েছে।ভদ্র ও নম্র ছেলে হিসেবে এ গ্রামে আমার সুনাম আছে। আমি পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন গ্রামে না থাকাতে গ্রামের ছেলে হয়েও যেন গ্রামের সাথে তেমনটি সম্পর্ক রাখতে পারি নি। তারপরেও এ গ্রামের সবাই আমাগে খুব ভালোবাসে। কিছুদিন আগে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছি। আশা করছি চাকরিটা হয়ে যাবে। বেশ ভাল বেতন পাব। আমাদের পারিবারিক অবস্থাটাও মন্দ না। আমিও বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। আমার বাবা-মা আমার এই পছন্দটাকে অগ্রাহ্য করবে না এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শুধু মীরা সম্মত হলেই চাকরি হওয়ার সাথে সাথে বিয়ে করব বলে স্থির করেছি। সমাজের যে অবস্থা। দেরি করলে ঐ দুষ্ট ছেলেরা মীরাকে বাঁচতে দেবে না। আমাকে এক্ষণই তার পাশে দাঁড়াতে হবে। আর আমার হৃদয়ের কথাগুলো তাকে সব অকপটে বলতে হবে। আর দেরি করা ঠিক হবে না।
পরের দিন খুব ভোরে একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে আমি মীরাদের বাড়ির দিকে রওনা দিই । দুরুদুরু পায়ে কম্পিত হৃদয়ে জানা অজানা আশঙ্কায় এগিয়ে চলেছি। না জানি কি না কি হয়।এক সময় চলার পথটা ছোট হয়ে এল। ওদের বাড়ির কাছে যেতেই শক্ত একটা হুচুট খেলাম। বাড়িতে অনেক লোকের সমাগম। দ্রুত ফুল দুটো লুকিয়ে বিষয়টি জানার জন্য সামনে গেলাম। লোকজনের ভিড় ঠেলে ওদের বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়লাম। মীরা একটা ভ্যানের উপর শুয়ে আছে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। পলকহীন মুগ্ধ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও যে তার চরমকাঙ্কিখত পুরুষ। আমি সত্যিই অনেক সাহস করে আজ তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আজ আমার কত সাহস। আমি ঠিক মীরার সামনে। মীরা স্থির হয়ে শুয়ে আছে কেবল আমার দিকে তাকিয়ে।শত শত মানুষের ভিড়ে আমি আজ মীরার সামনাসামনি সাহসী যুবক। আমার শরীর থরথর করে কাঁপছে। বুকটা তীব্র তাঁপে কুঁকড়িয়ে আসছে। আমি আর স্থির থাকতে পারছি না ঐ দৃষ্টির সামনে। কী করুণ সেই, দৃষ্টি আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। দু পা পিছিয়ে আসলাম। আমি কি করব ? আমার ফুল দুটো কি মিরার বুকের উপর রাখব। ঠিক যেখানে আমার থাকার কথা ছিল ? নাকি আমি আরো পিছিয়ে যাব ?
থানা থেকে পুলিশ এসে মীরার লাশটা একটা ভেনের উপর রেখেছে্। জানতে পারলাম, এখনই তাকে পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাবে। চেয়ারম্যান সাহেবের অপেক্ষায় রয়েছে। মীরার সেসব দিকে কোন খেয়াল নেই। সে শুধু চোখটা বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বাড়িতে কান্নার মহা প্লাবন চলছে। আমি মীরার সামনে গিয়ে আবার দাঁড়ালাম। মনে হলো মীরা আমার দিকে একপলক দৃষ্টি দেয়ার জন্যই অপেক্ষা করে ছিল। আমি একটা পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থেকে মীরাকে আজ খুব কাছ থেকে দেখলাম। সেও আমাকে অনেক কাছ থেকে দেখল আজ। কারো মুখে কোন কথা নেই। আমার চোখে অশ্রুর বন্যা বয়ে গেলেও মীরার চোখে কোন অশ্রু নেই, অনুশোচনা নেই, অভিযোগ নেই। সে তার আবেগ ঠিকই সামলিয়ে নিয়েছে। এত লোকের ভিড়ে আমার জন্য সে অশ্রু ফেলবে তাতো হয় না।
আরো জানতে পারলাম, মীরার বাবা গত রাতে বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে কয়েকজন বখাটে নেশাখোর ছেলে তার মাকে বেঁধে রেখে মীরাকে গণধর্ষণ করেছে। যাওয়ার সময় মীরাকে গলাটিপে হত্যা করে রেখে গেছে। মীরার মাকেও আগের বার বিচার চাওয়ার অপরাধে অনেক পিটিয়েছে। আর যাওয়ার সময় বলে গেছে এটাই তাদের প্রতিশোধ। পুনরায় বিচার চাইলে তারা মীরার বাবাকেও হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে গেছে। বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবে। মীরার মা এদের সবাইকে চিনলেও তাদের নাম উচ্চারণ করার সব শক্তি আর সাহসও হারিয়ে ফেলেছে।
মীরা, একটুও ভেবো না। তোমাদের আর বিচার চাইতে হবে না। এবার আমিই বিচার করব। খুব ভয়ঙ্কর বিচার। তোমার ঐ চাহনির কসম, আমি এর বিচার করবই। কেবল রাতের আঁধার ছাড়া কোন সাক্ষী খুঁজে পাবে না কেউ।
০৮ মার্চ - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী